হোমিও শব্দটি গ্রীক শব্দ homeo বা homoios থেকে নেওয়া। যার বাংলা অর্থ “একই” বা “মতো”।
জার্মান চিকিৎসক “স্যামুয়েল হ্যানিম্যান” উদ্ভাবিত (১৭৯৬) এক চিকিৎসা পদ্ধতি।
চিকিৎসা পদ্ধতিঃ
১) বিষে বিষক্ষয়’ জাতীয় উপায়ে রোগ সারানো অর্থাৎ রোগকে বাড়িয়ে তুলে তারপর সারানোর যে কথা হোমিও ডাক্তাররা বলে থাকেন।
২) যেভাবে হোমিওপ্যাথি ওষুধ তৈরি করা হয়; বারবার জলে বা স্পিরিটে দ্রবীভূত করে ঝাঁকিয়ে, তার থেকে দশভাগ নিয়ে আবার সেটাকে আরও তরল করে তারপর আবার…আবারও…এভাবে আরও দশবার।
উল্লেখিত পদ্ধতি গুলা কতটা বিজ্ঞান সম্পূর্ন আপনার মনে হয়?
কমন সেন্স, এভাবে বার চব্বিশেক তরলীকরণের পরে ওষুধের গুণসম্পন্ন একটি অণুও অবশিষ্ট থাকতে পারে না সেই দ্রবণে।
আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে এবং বৈজ্ঞানিক মহলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিকে অবৈজ্ঞানিক, আজগুবি আর হাতুড়ে চিকিত্সা হিসেবে গণ্য করা হয়।
বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে যে, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ প্রয়োগের ফলে কোনপ্রকার শারীরিক পরিবর্তন হয় না; যদিও কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ গ্রহণের কারণে হয়ত রোগী মানসিক প্রশান্তি লাভ করে থাকতে পারেন। এইজন্য হোমিওপ্যাথিক ওষুধকে "প্লেসবো" হিসেবে গণ্য করা হয় এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিকে অনেক বিজ্ঞানীরা ছদ্মবিজ্ঞান হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।
রেফেরেন্সঃ
http://www.dcscience.net/Smith-response.pdf
• Homeopathy is nonsense, says new chief scientist
https://www.telegraph.co.uk/news/health/news/10003680/Homeopathy-is-nonsense-says-new-chief-scientist.html
https://onlinelibrary.wiley.com/doi/abs/10.1111/j.2042-7166.2012.01162.x
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%93%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BF#cite_note-2
এক কথায় বলা যায় গবেষনায় হোমিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও খুঁজে পাওয়া যায়নি। যে রোগ নির্নয় পদ্ধতি একটা ভ্রান্ত ধারনার উপর আর ওষুধ একটা কল্পিত বস্তু।
হোমিও-কে আর যাই হোক বিজ্ঞান বা চিকিৎসা পদ্ধতি তো আর বলা চলে না!
হয়তো অনেকে বলবেন- আমি প্রমান দিতে পারি, অমুকের তমুক সেরেছে!
হ্যা, আপনার কথা বিশ্বাস করলাম। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে বলে প্লেস্যিবো এফেক্ট। অর্থাৎ একজনকে দিলেন প্যারাসিটামল অন্যকে পটেটো চিপস- দুজনেরই জ্বর সারল ৪ দিনের মাথায়।
তাহলে পটেটো চিপস দিয়ে রোগ সারছে?
তা নয়। বরং, অনেক রোগেরই একটা সেলফ লিমিটেশন আছে। মানে একটা পর্যায়ে যেয়ে রোগ নিজেই দূর্বল হয়ে পড়ে এবং শরীরের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছে নতি স্বীকার করে।
দেখবেন হোমিওপ্যাথ রা বেশি চিকিৎসা করে হেপাটাইটিস, জন্ডিস, অর্শ, লিউকোরিয়া এসব রোগ। যার প্রতিটিই একটা নির্দিষ্ট সময়ে ও হারে সেলফ লিমিটিং। মানে নিজ থেকেই ভাল হয়ে যায়।
তাহলে হোমিওপ্যাথি, খেলে সমস্যা কোথায়?
সমস্যা হল, হোমিওপ্যাথির ভরসা আপনার সত্যিই কোন রোগ থাকলে তাকে বাড়তে বাড়তে চুড়ান্তে নিয়ে যাবে।
পরিশেষে একটি প্রশ্ন রেখে শেষ করি-
আমরা নিশ্চয় জানি জেনারেল মেডিক্যাল/এলোপ্যাথিক ডাক্তার-রা কত বছর এবং কতটা পড়াশুনা করে, গবেষণা করে একজন ডাক্তার হিসেবে চিকিৎসা সেবা প্রধান করে। অপর দিকে হোমিও ডাক্তারদের কি পড়াশুনা, যোগ্যতা?
চিকিৎসা পদ্ধতিঃ
১) বিষে বিষক্ষয়’ জাতীয় উপায়ে রোগ সারানো অর্থাৎ রোগকে বাড়িয়ে তুলে তারপর সারানোর যে কথা হোমিও ডাক্তাররা বলে থাকেন।
২) যেভাবে হোমিওপ্যাথি ওষুধ তৈরি করা হয়; বারবার জলে বা স্পিরিটে দ্রবীভূত করে ঝাঁকিয়ে, তার থেকে দশভাগ নিয়ে আবার সেটাকে আরও তরল করে তারপর আবার…আবারও…এভাবে আরও দশবার।
উল্লেখিত পদ্ধতি গুলা কতটা বিজ্ঞান সম্পূর্ন আপনার মনে হয়?
কমন সেন্স, এভাবে বার চব্বিশেক তরলীকরণের পরে ওষুধের গুণসম্পন্ন একটি অণুও অবশিষ্ট থাকতে পারে না সেই দ্রবণে।
আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে এবং বৈজ্ঞানিক মহলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিকে অবৈজ্ঞানিক, আজগুবি আর হাতুড়ে চিকিত্সা হিসেবে গণ্য করা হয়।
বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে যে, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ প্রয়োগের ফলে কোনপ্রকার শারীরিক পরিবর্তন হয় না; যদিও কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ গ্রহণের কারণে হয়ত রোগী মানসিক প্রশান্তি লাভ করে থাকতে পারেন। এইজন্য হোমিওপ্যাথিক ওষুধকে "প্লেসবো" হিসেবে গণ্য করা হয় এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিকে অনেক বিজ্ঞানীরা ছদ্মবিজ্ঞান হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।
রেফেরেন্সঃ
- HOMEOPATHY IS UNSCIENTIFIC AND UNETHICAL
http://www.dcscience.net/Smith-response.pdf
• Homeopathy is nonsense, says new chief scientist
https://www.telegraph.co.uk/news/health/news/10003680/Homeopathy-is-nonsense-says-new-chief-scientist.html
- Proposed mechanisms for homeopathy are physically impossible
https://onlinelibrary.wiley.com/doi/abs/10.1111/j.2042-7166.2012.01162.x
- Wikipedia
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%93%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BF#cite_note-2
এক কথায় বলা যায় গবেষনায় হোমিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও খুঁজে পাওয়া যায়নি। যে রোগ নির্নয় পদ্ধতি একটা ভ্রান্ত ধারনার উপর আর ওষুধ একটা কল্পিত বস্তু।
হোমিও-কে আর যাই হোক বিজ্ঞান বা চিকিৎসা পদ্ধতি তো আর বলা চলে না!
হয়তো অনেকে বলবেন- আমি প্রমান দিতে পারি, অমুকের তমুক সেরেছে!
হ্যা, আপনার কথা বিশ্বাস করলাম। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে বলে প্লেস্যিবো এফেক্ট। অর্থাৎ একজনকে দিলেন প্যারাসিটামল অন্যকে পটেটো চিপস- দুজনেরই জ্বর সারল ৪ দিনের মাথায়।
তাহলে পটেটো চিপস দিয়ে রোগ সারছে?
তা নয়। বরং, অনেক রোগেরই একটা সেলফ লিমিটেশন আছে। মানে একটা পর্যায়ে যেয়ে রোগ নিজেই দূর্বল হয়ে পড়ে এবং শরীরের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছে নতি স্বীকার করে।
দেখবেন হোমিওপ্যাথ রা বেশি চিকিৎসা করে হেপাটাইটিস, জন্ডিস, অর্শ, লিউকোরিয়া এসব রোগ। যার প্রতিটিই একটা নির্দিষ্ট সময়ে ও হারে সেলফ লিমিটিং। মানে নিজ থেকেই ভাল হয়ে যায়।
তাহলে হোমিওপ্যাথি, খেলে সমস্যা কোথায়?
সমস্যা হল, হোমিওপ্যাথির ভরসা আপনার সত্যিই কোন রোগ থাকলে তাকে বাড়তে বাড়তে চুড়ান্তে নিয়ে যাবে।
পরিশেষে একটি প্রশ্ন রেখে শেষ করি-
আমরা নিশ্চয় জানি জেনারেল মেডিক্যাল/এলোপ্যাথিক ডাক্তার-রা কত বছর এবং কতটা পড়াশুনা করে, গবেষণা করে একজন ডাক্তার হিসেবে চিকিৎসা সেবা প্রধান করে। অপর দিকে হোমিও ডাক্তারদের কি পড়াশুনা, যোগ্যতা?